আপনার পছন্দের গল্প বেছে নিন
নিচের যেকোনো একটি গল্পে ক্লিক করে পড়া শুরু করুন
রৌপ্যের বাক্সের রহস্য
একটি রহস্যময় বাক্স এবং তার ভেতরের গোপন সত্য নিয়ে এক উত্তেজনাপূর্ণ গল্প।
রহস্যপাহাড়ের ডাক
এক দুঃসাহসী যুবকের পাহাড়ি অভিযান এবং প্রকৃতির সাথে তার অনন্য সম্পর্ক।
অভিযানবন্ধুত্বের মূল্য
দুই বন্ধুর গভীর বন্ধুত্ব এবং জীবনের কঠিন মুহূর্তে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো।
আবেগবিজ্ঞানের জাদু
একজন তরুণ বিজ্ঞানীর আবিষ্কার এবং কীভাবে তা পৃথিবীকে বদলে দিতে পারে।
বিজ্ঞানরৌপ্যের বাক্সের রহস্য
প্রথম অধ্যায়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো লাইব্রেরির ভেতরে রাত তখন প্রায় ৯টা। পরীক্ষার জন্য নোট সংগ্রহ করতে করতে মাহিম ক্লান্ত হয়ে একটা অন্ধকার কক্ষের দিকে চলে গেল। কক্ষটা ব্যবহার হয় না বললেই চলে, পুরনো বই আর ধুলো জমা তাক ছাড়া সেখানে কিছু নেই। মাহিম কৌতূহল সামলাতে পারল না। বাক্সটা হাতে নিয়ে দেখে, ঢাকনায় খোদাই করা আছে আরবি অক্ষরে মাত্র তিনটি শব্দ: “আল-আমানাহ, ১২৩” লক খোলা নেই, কিন্তু ভেতর থেকে যেন ক্ষীণ টুংটাং শব্দ আসছে।

ঠিক সেই মুহূর্তেই কক্ষের বাতি ঝিমিয়ে নিভে গেল। পুরো ঘর অন্ধকারে ডুবে যায়। আর অন্ধকারের ভেতর সে যেন হালকা কণ্ঠস্বর শুনতে পেল— “যে প্রতিশ্রুতি ভেঙে ফেলবে, সে আলো হারাবে…” মাহিম ভয়ে বাক্সটা নামিয়ে রাখল। কিন্তু অদ্ভুতভাবে বাক্সের ঢাকনা নিজে থেকেই খানিকটা ফাঁকা হলো, আর ভেতর থেকে বের হয়ে এল এক টুকরো পুরনো কাগজ।
রহস্যের সূচনা
কাগজে লেখা অদ্ভুত চিহ্ন আর একটি নাম— “ইবনে কাশান, ৬৪২ হিজরি”

মাহিম হতবাক। কে এই মানুষ? এই বাক্স এখানে এল কীভাবে? আর কেন তাকে এই সতর্কবাণী দেওয়া হলো?
তার মাথায় হাজার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কাগজটা গোপনে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে সে দ্রুত লাইব্রেরি থেকে বেরিয়ে এল। কিন্তু জানত না, এই ছোট সিদ্ধান্ত তাকে এমন এক পথে নিয়ে যাবে—যেখানে ইতিহাস, রহস্য আর ঈমানের অজানা অধ্যায় একসাথে মিশে আছে।

( চলবে… )
পাহাড়ের ডাক
শুরুর দিন
সকালের সূর্য উঠতে না উঠতেই রিফাত তৈরি হয়ে গেল। আজ তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিযানের দিন— বান্দরবানের সর্বোচ্চ চূড়া তাজিংডং জয় করা।
ব্যাগে পানি, খাবার আর প্রাথমিক চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে সে রওনা দিল। গাইড কামাল মিয়া বলেছেন, "পাহাড় তোমাকে ডাকলে, তুমি না গেলেই নয়।"
কঠিন পথ
দুপুরের দিকে পথ হয়ে গেল একেবারে খাড়া। পাহাড়ি পথে পা ফসকে যাওয়ার ভয়, তার উপর চারদিকে ঘন জঙ্গল।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল। পিচ্ছিল পথে চলা হয়ে গেল আরও কঠিন। কিন্তু রিফাত হাল ছাড়ার মানুষ নয়। "এই পাহাড় আমাকে হারাতে পারবে না," মনে মনে বলল সে।
চূড়ার দেখা
সন্ধ্যার আগেই তারা পৌঁছে গেল তাজিংডং-এর চূড়ায়। চারদিকে মেঘের সাদা চাদर, আর দূরে দূরে অন্য পাহাড়ের সারি।
রিফাত গভীর শ্বাস নিল। এতটা সৌন্দর্য, এতটা শান্তি— যেন প্রকৃতি তাকে আলিঙ্গন করে নিয়েছে। "এই জন্যই পাহাড় ডেকেছিল আমাকে," ভাবল সে।